‘সেইভ ইয়ুথ বাংলাদেশ’-এর ‘শান্তি, সহিষ্ণুতা ও বৈচিত্র্যতা’ শীর্ষক ৭১ ও ৭২তম কর্মশালা গত ২৬-২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাইক্রোগভার্নেন্স রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (MGR), USAID ও IFES এর সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে এই কর্মশালা। কর্মশালাটি আয়োজনে সহযগিতা করেন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রভাষক এবং সেইভ ইয়ুথ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের নবনিযুক্ত মডারেটর নিশানা আফরিন নিশু ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেইভ ইয়ুথের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
কর্মশালা পরিচালনায় ছিলেন ‘সেইভ ইয়ুথ বাংলাদেশ’-এর ন্যাশনাল মডারেটর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম, মাস্টার ট্রেইনার মো. আব্দুল্লাহ-আল-সাঈদ, গাজী রওশন হাবিব আনিকা ও মাজহার উদ্দিন ভূঁইয়া এবং সেইভ ইয়ুথ ঢাবি চ্যাপ্টারের টিম লিড নওশীন আনজুম। এতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ৭৭ জন শিক্ষার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া সেইভ ইয়ুথের সহায়ক পার্টনার ‘ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমস’-এর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিক এডুকেশন অফিসার রাকিবুল ইসলাম এবং মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন অফিসার রাজিব আহমেদ।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় শিক্ষার্থীদেরকে গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, শান্তি, সংঘর্ষ, সহিষ্ণুতা এবং মতের বৈচিত্র্যতার ওপর বাস্তবিক জ্ঞান প্রদান করা হয়। ২৭ জানুয়ারি কর্মশালাটির সমাপনী পর্বে অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের সম্মানিত প্রধান অধ্যাপক ড. সেলিনা আহমেদ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. রওশন আরা, অধ্যাপক ড.তুহিন রায়, অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার চন্দ এবং সহকারী অধ্যাপক রিনা আক্তার।
কর্মশালার সমাপনী পর্বে সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. সেলিনা আহমেদ বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীতে তরুণরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। এই বাস্তবতায় এ ধরনের কর্মশালা বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করবে।’
এছাড়াও অধ্যাপক ড. তুহিন রায় বলেন, ‘এ ধরনের কর্মশালা যুগোপযোগী একটা পদক্ষেপ এবং এটি তরুণদের যোগাযোগ দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
কর্মশালা শেষে ‘সেইভ ইয়ুথ বাংলাদেশ’-এর ন্যাশনাল মডারেটর আইনুল ইসলাম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে তরুণদের ভূমিকা অনেক। শান্তি প্রতিষ্ঠা, শান্তির প্রচার, সহিষ্ণুতা, বৈচিত্র্যতার জন্য তরুণদের কাজ করে যেতে হবে। এছাড়াও সকল প্রকার সংঘাতের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে যেন একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নিশ্চিত হয়।’
কর্মশালা শেষে সেইভ ইয়ুথের ন্যাশনাল মডারেটর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে মাননীয় উপাচার্য মহোদয় বলেন, “সেইভ ইয়ুথের কর্মশালা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সামাজিক নেতৃত্ব, শান্তি, ও সহিষ্ণুতার বার্তা প্রচারে এবং নেটওয়ার্ক তৈরীতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি গ্লোবাল ভিলেজের অংশ হতে তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলবে।” সেইভ ইয়ুথ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের অক্টোবরে ‘সেইভ’ বাংলাদেশে কাজ শুরু করে। তরুণদের জন্য ভিন্নধর্মী প্লাটফর্ম হিসেবে সংগঠনটি শান্তির প্রচার, সহিষ্ণুতা, বৈচিত্র্যতার প্রতি সম্মান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করে। এ ছাড়াও সকল প্রকার সংঘাতের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে সংগঠনটি।